Thursday, May 3, 2007

caretaker govt should get time as long as it needs.

পত্র-পত্রিকা কিংবা দূরদর্শনে ইদানিং কিছু মানুষকে আবেগাপ্লুত হয়ে সাক্ষাতকার দিতে দেখা যায় এবং তাদের মুখে তোতা পাখিকে যেভাবে শিখিয়ে দেয়া হয় সেভাবে বলতে দেখা যায় যে অতি দ্রুত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া যেন হয়।-------------(সমীকরন ১)
দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক যে তালিকা তৈরী করা হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানিয় দুর্নীতিবাজদের, তাদের কিছুই হবে না যদি আবার পরিবারতন্ত্রের যাঁতাকলে মানুষ পড়ে, আবার সেই একি কাহিনী ঘটবে যা এতদিন হয়ে আসছিল। সেই একি ধাওয়া পালটা ধাওয়া। ছোটবেলায় পাটিগনিত এ বানরের অংকের মত পিচ্ছিল বাঁশবেয়ে উঠা। অর্থাৎ যখন খালেদা আসবে তখন বাঁশে তেল মাখাবে হাসিনা, আর যখন হাসিনা আসবে তখন তেল-কলা মাখাবে খালেদা। যার অর্থ বাস্তবে কখনই বাঁশের মাথায় তথা উন্নতির শিখরে বাংলাদেশের উঠতে না পারা। সুতরাং এ গোলোক-ধাঁধাঁ থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে।
মনে রাখতে হবে, গত তিন মাসে আমাদের দেশের যে পরিবর্তন হয়েছে তা গত তিরিশ বছরেও কেউ করতে পারেনি। এখন এই সুস্থ্য সুন্দর দেশটাকে ধরে রাখতে হলে অবশ্যই দোষীদেরকে খুঁজে বের করে যোগ্য শাস্তি প্রদান করতে হবে। শাস্তির পরও আরো বিধান থাকতে হবে যেন ওই সমস্তলোক ভবিষ্যতে আমাদের মত নিস্পাপ জনগনের চোখের উপর আঙ্গুল তুলতে না পারে, যেন তারা নেতৃত্ব না পায়। ভাল লোকের অভাব নেই, একান্তই যদি কাউকে না পাওয়া যায় তো দয়া করে আমাকে ইমেইল করবেন। আমি নেতৃত্ব দেব। আমি লোক খুঁজে দেব আরও নেতৃত্বের প্রয়োজন পড়লে, তবুও খুনি-ডাকু, সন্ত্রাসী-দুর্নীতিবাজদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চাই না।
দেশের সবাই যখন এই সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, তখুনি কিছু so called বুদ্ধিজীবিদের অনাস্থাপূর্ন মন্তব্য আমাকে অবাক করেছে। তারা যেনো ধাওয়া-পালটা-ধাওয়ার চিত্রটা খুব miss করছে। অদ্ভুত!
স্পষ্টতই এরা অতীত সরকারগুলোর মদদ পুষ্ট পোষা বুদ্ধিজীবি, যাদের নেতা এখন দুর্নীতিদায়গ্রস্থ কিংবা ভয়ঙ্কর কোনো অপরাধের শাস্তি প্রাপ্ত, কিংবা পলাতক।
যে লোকটা চোর নয়, সে কেন ভয় পাবে দেশে rab নামলো নাকি army নামলো। তারাই ভয় পাচ্ছে যারা শয়তানি করে এসেছিল এতদিন। এখন তারা যমদূত এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর দ্রুত প্রস্থান চাচ্ছে।
আমার বক্তব্যের শুরুর সেই সমীকরন ১ এ বর্ণিত উক্তিটি যারা করছে তাদেরকে আমার একটি কথাই বলার আছে যে, হ্যাঁ, দেশের ক্ষমতা রাজনৈতিকদের হাতেই যাবে, চোরদের কাছে নয়, খুনিদের কাছে নয়, ডাকাতদের কাছে নয়, কিংবা রাজনৈতিক মুখোশে আবৃত কোনো অসাধু লোকের হাতে নয়, হতে পারে সে অসাধু বিদ্বান, ...কিনতু দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য। যেমন, সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ হল আমাদের সচিবালয়, যেখানে ৯০ শতাংশ সচিব উচ্চ শিক্ষিত ও বেশিরভাগই সে শিক্ষা আমেরিকা কানাডা ইংল্যান্ড অষ্ট্রেলিয়া থেকে নিয়েছেন। সুতরাং শিক্ষা আর সততা এ দুটো একে অপরের উপর নির্ভর করে না। যাইহোক এখন আমাদের অনেক কামনা-বাসনার এই "ভাল" লোকের হাতে দেশকে তুলে দেয়ার কাজটাই তো করছে এ সরকার। তাই আমাদের দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই।
আমাদের উচিত দেড় বছরের জায়গায় দরকার হলে দুই বা তিন বছর অপেক্ষা করা। আর এটার ভয়েই আছে খারাপ লোকগুলো আর তাদের চেলা গুলো।
মাত্র তিন মাসের এই পরিবর্তন যদি গত তিরিশ বছরের চেয়ে শ্রেয় হয়, তাহলে এভাবে আগামি দশ বছরে কি সমস্যা? বরং এই ইসলাম সদৃশ নির্দলীয় শাসন ব্যাবস্থাই বহাল থাকুক। চাই না আবার সেই পুঁজিবাদি দলাদলি আর হানাহানি (যার সরস নাম গণতন্ত্র)।